কক্সবাজার, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

অনলাইন জুয়ায় এক জেলাতেই দিনে ৫ কোটি টাকা লেনদেন: সিআইডি

অনলাইনে জুয়ার নামে দেশের এক জেলাতেই দিনে অন্তত তিন থেকে পাঁচ কোটি টাকা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অবৈধভাবে লেনদেন হচ্ছে বলে তথ্য পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। রোববার দুপুরে সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল আহসান এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০ জন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে, যেসব নম্বরে অনলাইন জুয়ার টাকা লেনদেন হচ্ছে। নম্বরগুলোর মধ্যে অন্তত ১৫টিতে দিনে ১০ লাখ টাকার ওপরে লেনদেন করছে জুয়াড়ি চক্র। পরে এই টাকা হুন্ডি বা অবৈধ ব্যাংকিং চ্যানেলে পাচার হচ্ছে বলে ধারণা সিআইডির।

কামরুল আহসান বলেন, আমরা একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে একটি বেটিং সাইটের সন্ধান পাই। সাইটটি রাশিয়া থেকে পরিচালিত হলেও বাংলাদেশে তার এজেন্ট রয়েছে। সীমান্তবর্তী জেলায় অনলাইন জুয়ার নামে টাকা লেনদেনের তথ্য আমরা বেশি পাচ্ছি। যেমন চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কক্সবাজার।

সিআইডি জানায়, অনলাইন জুয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর ও কক্সবাজার থেকে নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন, স্বপন মাহমুদ, নাজমুল হক, আসলাম উদ্দিন, মুরশিদ লিপু, শিশির মোল্লা, মো. সাদিক, মাসুদ রানা, মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী মনিরা আক্তার। তাদের বয়স ৩৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে।

গ্রেপ্তারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে কামরুল আহসান বলেন, একটি জেলায় ৫০ জন এজেন্টের তথ্য পাওয়া গেছে। সারাদেশের চিত্র এখনও আমরা পাইনি। এ নিয়ে কাজ চলছে। দিনে একটি বেটিং সাইটে এক থেকে দেড় লাখ ব্যক্তি জুয়ায় অংশ নেন বলেও জানান তিনি।

সিআইডি আরও জানায়, চক্রটি বিভিন্ন বড় লিগ টার্গেট করে অনলাইন জুয়ার আয়োজন করে। বেটিং সাইট বা অ্যাপসে যে কেউ লগিং অ্যাকাউন্ট খোলার পর একটি ই-ওয়ালেট পান। সেটিতে অ্যাকাউন্ট ওপেনকারী ব্যক্তিকে টাকা রিচার্জ করতে হয়। বেটিং সাইটে দেওয়া মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নম্বরে টাকা পাঠানোর পর এই ই-ওয়ালেটে টাকা যুক্ত হয়।

সিআইডি সূত্র জানায়, বিজনেস সিম বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স থাকার কথা। কিন্তু জুয়ার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা কোনো রকম শর্ত না মেনে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিজনেস সিম পেয়ে যাচ্ছেন। এমনকি বিজনেস সিম ভাড়াও নিচ্ছে চক্রটি। মোবাইল ব্যাংকিংয়ে কর্মরত অসাধু ব্যক্তিরা এ কাজে জড়িত থাকতে পারে বলেও ধারণা সিআইডির।

পাঠকের মতামত: